লম্ব বৃত্তাকার চোঙ হল বিষম আকৃতির ঘনবস্তু | এই ঘনবস্তুর দুটি সমতল এবং একটি বক্রতল আছে | সমতল দুটি বৃত্তাকার যার ব্যাসার্ধ হল AC ও BD , আর বৃত্তাকার তল দুটির পরিধি বরাবর চারপাশে ঘিরে আছে একটি বক্রতল, যা বৃত্তাকার তল দুটির পরিধির সঙ্গে লম্বভাবে অবস্থান করে | একটি আয়তক্ষেত্রের যে কোনো একটি প্রান্তিক বাহুকে অক্ষ ধরে অক্ষ বরাবর 360 ডির্গি আবর্তন করালে যে ঘনবস্তু উৎপন্ন হয় তাকে লম্ব বৃত্তাকার চোঙ বলে | উদাহরণ হল :- পাইপ, টিউব লাইট, গোল জলের ড্রাম, কাঠের গুড়ি ইত্যাদি | নিচে একটি লম্ব বৃত্তাকার চোঙ এর ছবি দেওয়া হল |
উপরের ছবি থেকে আমরা দেখতে পাই AC হল লম্ব বৃত্তাকার চোঙ এর ব্যাসার্ধ, ধরিলাম লম্ব বৃত্তাকার চোঙ এর ব্যাসার্ধ r, তা হলে AC=BD=r | আর h হল লম্ব বৃত্তাকার চোঙ এর উচ্চতা |
লম্ব বৃত্তাকার চোঙ এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ সূত্র উল্লেখ করা হল | সূত্র গুলি পেজের নিচের দিকে বিস্তারিত আলোচনা করা হল |
লম্ব বৃত্তাকার চোঙ এর সমন্ধে কিছু বিষয় জেনে রাখা প্রয়োজন | বিষয় গুলি হল নিম্নরূপ |
অর্থাৎ একটি লম্ব বৃত্তাকার চোঙ এর দুটি বৃত্তাকার সমতল থাকে | ছবির মতো করে যদি চোঙটিকে দাঁড় করানো হয় তাহলে একটি বৃত্তাকার সমতল নিচের দিকে থাকবে | এই নিচের দিকে থাকা তলটির উপর চোঙটি দাড়িয়ে থাকে | এই তলকে বলা হয় ভূমি | উপরের ছবিতে B-কে কেন্দ্র করে যে বৃত্তাকার তল গঠিত হয়েছে তাই হল এখানে লম্ব বৃত্তাকার চোঙ এর ভূমি |
অর্থাৎ লম্ব বৃত্তাকার চোঙের বক্রতল কে চোঙের পার্শ্বতল বলে |
চোঙের অক্ষরেখা এর দৈর্ঘ্য হল চোঙের উচ্চতা |
অঙ্ক করার সময় আমরা তিন ধরনের চোঙের বর্ণনা পেয়ে থাকি | তা হল নিম্নরূপ
সম্পুর্ন নিরেট চোঙ মানে চোঙ এর মাঝের অংশ ফাঁকা থাকবে না |
বাস্তবে সম্পূর্ণ ফাঁপা চোঙ হয় না | কারণ R-r এই মাঝের অংশটি থাকবে | তবে এই অংশটি এতটাই সরু হয় যে এটির অন্তর ব্যাসার্ধ ও বহির্ব্যাসার্ধ ধরা হয় না | শুধু বহির্ব্যাসার্ধ ধরেই অঙ্ক করতে হয় | তাই এই রকম অঙ্কে শুধু ব্যাসার্ধ এর কথা উল্লেখ করা হয় তাহল বহির্ব্যাসার্ধ |
কিছুটা ফাঁপা চোঙ বলতে বুঝাতে চেয়েছি চোঙ এর পাইপ টা কিছুটা মোটা | একটি ছবির সাহায্যে বুঝানোর চেষ্টা করিলাম | কিছুটা মোটা বলতে একটি অন্তর ব্যাসার্ধ ও একটি বহির্ব্যাসার্ধ থাকবে | এখানে অন্তর ব্যাসার্ধ কে ধরিলাম r ও বহির্ব্যাসার্ধ কে ধরিলাম R | R-r এই মাঝের অংশটি হল নিরেট | r ব্যাসার্ধ হল চোঙ এর ফাঁপা অংশ |